খুলনা’র বইবাড়িতে শিশুদের গল্পের বইয়ের প্রচ্ছদ অংকন ও অলংকরণ প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করেছে।
শিশুদের আঁকা নির্বাচিত ছবি দিয়ে ৪টি গল্পের বইয়ের প্রচ্ছদ ও ভেতরের অলংকরণ করা হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়ম
১। অংকন প্রতিযোগিতায় ২য় থেকে ১০ম শ্রেণির যেকোনো শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২ । আঁকার কাগজ বাদে অন্য সকল সরঞ্জাম অংশগ্রহণকারীকে সাথে নিয়ে আসতে হবে।
৩ । ৪টি গল্পের যেকোন একটি গল্পের প্রচ্ছদ অংকন এবং বইয়ের ভেতর অঙ্গসজ্জা অলংকরণ করতে পারবে।
৪। যেকোন মাধ্যম ব্যবহার করে ছবি আঁকা যাবে।
৫ । নির্ধারিত তারিখে সকাল ১০টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
পুরস্কার
ক । বইবাড়ি খুলনা’র উদ্বোধনী দিন সকল ছবি দিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
খ । প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছাড়াও সকল অংশগ্রহণকারীকে উপহার হিসেবে বই প্রদান করা হবে।
গ । বাছাইকৃত ছবি দিয়ে ৪টি বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করা হবে।
তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৩, শুক্রবার
সময়: সকাল ১০.৩০ মিনিট
স্থান: আনন্দ নিকেতন, ১৮ ফারাজি পাড়া লেন, খুলনা
চালতা ফুল [একুশে ফেব্রয়ারি বিষয়ক]
সংক্ষিপ্ত গল্পাংশ: দুই কিশোর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দেবার জন্য খুব ভোরে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ফুলের খোঁজে যায়। কিন্তু কোথাও ভাল ফুল না পেয়ে তারা গ্রামের শেষ প্রান্তে থাকা পুরাতন জমিদার বাড়ির আঙ্গিনায় ভাঁট ফুল তুলতে গিয়ে এক বুড়ির খপ্পরে পড়ে। ছোটখাট একটা জটাবুড়ি। কুঁজো হয়ে আছে পীঠ, সাদা চোখ, কালো মণি-টনি কিচ্ছু নেই। সারা গায়ে ছালা জড়ানো। চুলগুলো সব বটের ঝুড়ি হয়ে মাটিতে লটপট করছে আর হাতের সুরুসুরু নখগুলো ঝুলে পড়েছে ফিঙ্গে পাখির ল্যাজের মতো। তবে, শেষে বুড়ির দেওয়া চালতা ফুল নিয়ে তারা শহীদ মিনারে যায়।
ঢ্যাপার সাথি বার আঙ্গুলে বচু [পরিবেশ দূষণ বিষয়ক]
সংক্ষিপ্ত গল্পাংশ: আপলাম আর চাপলাম দু’টো ভোঁদড় দিয়ে বচু এবং তার বাবা সারা দিন ঢ্যাপা নদীতে মাছ ধরে। সেই মাছ বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। বচুর একটি ছোট বোন কংকা আর দাদী আছে। বচু জঙ্গলে ঘুরতে খুব পছন্দ করে। বচুর দুই হাতে একটি করে আঙ্গুল বেশি, মানে সকলের দশটা আর বচুর বারোটা আঙ্গুল। বচুর প্রাণের বন্ধু হলো ঢ্যাপা নদী। একটা বিশেষ ভাষা ব্যবহার করে বচু নদীটার সাথে গল্প করে, সে এক ভারী মজার ভাষা- মুজুক জুমু টং, ফি-লা-না-বি, গুংগুং লুলু লুলু প! কংকা, বচু আর ঢ্যাপা তিন জনই আনন্দে থাকে কিন্তু একদিন একটা তেল বোঝাই জাহাজ ঢ্যাপা নদীতে ডুবে গেলে তার থেকে বিষাক্ত তেল বের হয়ে নদীটার পানিতে মিশে যায়। তেলের কারণে নদীটার দমবন্ধ হয়ে যায়। বচু আর কংকা নদীটাকে বাচাঁনোর আপ্রাণ চেষ্টা করে।
পুস্প গেলো চাঁদে [বিজ্ঞান ও প্রকৃতি বিষয়ক]
সংক্ষিপ্ত গল্পাংশ: চিংলা-মই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে হরিণা নদীর বাঁকে পুষ্পের গ্রাম, তিত্লাং। গ্রামটি শান্ত, তার থেকেও শান্ত মানুষগুলো। কারণ এখানে যারা থাকেন তাদের বয়স যেন ঐ পাহাড়ের সমান। তিত্লাং জুড়ে সকলেই সাড়ে ছ’বছরের পুষ্পের দাদা-দাদী-নানা-নানী। এক রাতে আকাশের পূর্নিমার চাঁদ পুষ্পকে ডেকে বলে, প্রতি মাসে আমি তোমার বাড়ি আসি, কই তুমি তো একবারও আমার কাছে আসো না? এই শুনে পুষ্প বায়না ধরে সেও চাঁদের কাছে বেড়াতে যাবে। গ্রামের সবাই বিশেষ ভাবে কিছু বেলুন তৈরি করে পুষ্পকে তার চাঁদ বন্ধুর কাছে পাঠায়। পুষ্প চাঁদের সাথে খেলা করে আবার ফিরে আসে দাদা-দাদির কাছে।
নটু, বুনি আর বুডঢা [বন্য প্রাণি ও প্রকৃতি বিষয়ক]
সংক্ষিপ্ত গল্পাংশ: নটু ও বুনি যমজ ভাই ও বোন। বয়স মাত্র ছয়। ওরা পাহাড়তলী পাড়ার শেষ বাড়িটাতে থাকে। ওদের বাবা স্কুল শিক্ষক। পাড়ায় আছে খড়ে ছাওয়া একটা পাঠশালা, নাম- করুবক। যেটা কোনো কোনো দিন বিকালে, কোনো কোনো দিন দুপুরে, আবার কোনো কোনো দিন একদম ভোরবেলাতে বসে। মানে যখন যে ক্লাসটা হলে বাচ্চাগুলো সব থেকে ভালো ভাবে শিখবে তখনই সেই ক্লাসটা হয়।
এক ঝড়ের রাতে নটু আর বুনি ওদের বাড়ির পিছনে একটা গর্তের মধ্যে একটা হাতির বাচ্চাকে পায়। বাচ্চা হাতিটা নাম দেয় বুডঢা। বুড্ঢা বড় হতে থাকে, পাহাড় সমান। বুড্ঢার সব মজার মজার কান্ড-কারখানা নিয়ে পুরো পাড়া মেতে ওঠে।
বইবাড়ি খুলনা অফিস ১৮, ফারাজি পাড়া লেন, খুলনা
মোবাইল: ০১৭৫৪৫৩১৪৬২, ০১৯৭৭০৮০৫৪৩, ০১৭৭১৫০৫১৫০