বই পরিচিতি
সংগ্রাম, স্বাধীনতা, আন্দোলন, মুক্তি প্রত্যয়গুলো একটির সঙ্গে অন্যটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এ বিষয়গুলোর সঙ্গে বাঙালি এবং বাঙালির চেতনার জগৎ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বাঙালির চেতনার ও আবেগের সর্বোচ্চ ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এ সংগ্রামে হাজার হাজার বীরপুরুষ নিজের জীবনকে দেশমাতার টানে উৎসর্গ করেছেন। আবার অনেকেই সারাজীবন আন্দোলনের রসদ যুগিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন বীর সেনানীদের। এহেন কাজে জীবনের যে কোন ঝুঁকি নিতে তারা পিছপা হননি। তাঁদের মধ্যে একজন বঙ্গমাতা, জাতির জনকের সুযোগ্য সহধর্মিণী, বাঙালির রত্ন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি সারাটা জীবন আমাদের মুক্তি সংগ্রামের জন্য কাজ করেছেন, রসদ যুগিয়েছেন মুক্তি আন্দোলনের। কিন্তু সে বিবেচনায় ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর গবেষণাধর্মী লেখা খুবই স্বল্প কিংবা তাঁর উপর বিস্তর জানার সুযোগ হয়নি অনেকের। তারই নিমিত্তে গবেষক হিসেবে ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর কাজ করার জন্য আগ্রহবোধ তৈরি হয়। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে এ মানুষটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। এ দুটি বিষয়ের সম্মিলনে বইটি লেখার পেছনে প্রেরণা ও তাগিদ অনুভব হয়। বইটির ভূমিকা লিখে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি জাফর ওয়াজেদ। সুদূর যুক্তরাজ্য হতে নিয়মিত ফোন দিয়ে বইয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাগিদ দিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক ও সম্পাদক সুজাত মনসুর। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব সুলতান মাহমুদ শরিফ নিজ উদ্যোগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন কাজের সুবিধার জন্য এবং নিজে সাক্ষাৎকার দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। এছাড়াও সিআরআই কর্মকর্তা নুরুল আলম পাঠান মিলন সার্বক্ষণিক বই-পুস্তক এবং নানাবিধ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। সকলের কাছে ঋণী। বিশেষভাবে ঋণী চ্যানেল আই অনলাইনের সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খানের প্রতি, যিনি ধারাবাহিকভাবে কিস্তি আকারে লেখা প্রকাশ করেছেন। কৃতজ্ঞ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুব্রত ব্যানার্জীর নিকট, যিনি প্রবাসে বসে আমার কাজের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি উৎসাহ প্রদান করেছেন। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ আমার পরিবারের সদস্য মোছা. আছিয়া খাতুন, বিবি হাওয়া, মো. রাকিবুল হাসানের নিকট, যাঁরা বইটি লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
Reviews
There are no reviews yet.