বইপরিচিতি :
বঙ্গবন্ধুকে যতোটা ভালোবেসেছিলেন, অতোটা ভালো আর কাউকে বাসেন নাই দুরন্ত বিপ্লব। তাইতো কবিতায় তাঁর দৃপ্ত উচ্চারণ
তুমি যদি বঙ্গবন্ধুকে ভোলোবাসো তবে
তোমাকে ভালোবাসতে পারি।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি এক নিখাদ ভালোবাসা তিনি বয়ে বেড়িয়েছেন আজীবন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ, লালন এবং পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। বিনিময়ে চান নাই কিছুই।
বঙ্গবন্ধুর সাথে ভালোবাসার গল্পটার শুরু দুরন্ত বিপ্লবের জন্মেরও আগে, ৭ই মার্চ ১৯৭১ সাল থেকে। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে মাতৃগর্ভের সাত মাসের নরম অন্ধকারে বসে দুরন্ত বিপ্লব শুনেছিলেন বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ, সেই অমরবাণী। মস্তিষ্কের নিউরনে নিউরনে বুঝি গেঁথে গিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর সেই উদাত্ত আহ্বান। তারপর শৈশবে বাবার বাজানো টেপরেকর্ডারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এবং মায়ের মুখে মুক্তিযৃদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে সেই অনুভূতি ডালপালা মেলে পরিণত হয়েছিলো ভালোবাসার মহীরুহে।
দুরন্ত বিপ্লব ম্বভাব কবি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। তার থেকে নির্বাচিত একগুচ্ছ কবিতা নিয়ে সযত্নে গুছিয়েছেন “বঙ্গবন্ধু ভালোবাসার অপর নাম” কাব্য গ্রন্থটি। যেখানে তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন-
আমরা এক মহান পুরুষের অমৃতের সন্তান!
আমাদের ধমনীতে তাঁর আদর্শের শোণিত বহমান!
জয়, জয় হোক, পুরুষোত্তম তুমি পিতা আমার
ভালোবাসার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কবি পরিচিতি:
১৯৭১ সালের ২৭ মে, মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল সময়ে, মা রোকেয়া আক্তার খাতুন এবং বাবা আব্দুল মান্নান তালুকদারের কোলজুড়ে আসে তাঁদের প্রথম সন্তান। যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে গর্ভের সন্তানকে বাঁচাতে রোকেয়া আক্তার খাতুন ঢাকা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন নেত্রকোনার পুরাকান্দুলিয়া গ্রামে খালার বাড়িতে। সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন দুরন্ত বিপ্লব। দেশ তখন মহাবিপ্লবের পথে ধাবমান। সেই বিপ্লবকে ধারণ করতেই বাবা বেছে নেন দুরন্ত বিপ্লব নামটি।
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সদ্য আঠারো পার হওযা তরুন দুরন্ত বিপ্লব হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে রাজপথের দখল নিয়েছিলেন। ছিলেন সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের হাজারীবাগ অংশের মূল সংগঠক ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়ের কিংবদন্তী তুল্য ছাত্রনেতা দুরন্ত বিপ্লব নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সময় কালে জাহাঙ্গীরনগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
২০১৬-২০১৯ সময়কালে তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এবং ২০২০ সাল থেকে কৃষি ও সমবায় উপকমিটির একজন সক্রিয় সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও দুরন্ত বিপ্লব দৃষ্টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং হাসুমনির পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তিনি অসংখ্য কবিতা এবং একটি পালা লিখে গেছেন।
একজন নিবেদিতপ্রাণ বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। নেশায় কৃষক এবং সোনামাটি এগ্রোর প্রতিষ্ঠাতা। কৃষিকে বিষমুক্ত করার জন্য এবং কৃষকের স্বার্থকে মাথায় রেখে তিনি জৈব চাষপদ্ধতি নিয়ে কাজ করছিলেন। ০৭ নভেম্বর ২০২২, কেরাণীগঞ্জের কৃষিফার্ম থেকে ঢাকায় আসার পথে তিনি নিখোঁজ হন এবং ১৩ নভেম্বর ২০২২ বুড়িগঙ্গা নদীতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
Reviews
There are no reviews yet.